সেই শিক্ষিকাকে কারণ দর্শাতে নোটিশ





শেয়ার

নাটোরে আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা ও চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম লিপনের অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় শিক্ষিকাকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। নাটোর সিটি কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরিত ওই নোটিশটি প্রথমে কলেজের পিয়ন মারফত পাঠালেও তিনি তা রিসিভ না করায় ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সকালে কলেজের একজন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও অফিস সহায়ক শহরের উত্তর বড়গাছায় সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক ওই শিক্ষিকার বাসভবনে সরাসরি নোটিশ নিয়ে যান। এ সময় তারা বাসায় নক করলে দরজা না খুলে ভেতর থেকে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। পরিচয় পেয়ে তিনি আর দরজা খোলেননি। এমনকি নোটিশও গ্রহণ করেননি। পরে তারা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে চলে আসেন। এরপর ওই নোটিশ ডাকযোগে ও শিক্ষিকার ব্যক্তিগত ই-মেইলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।  কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এডভোকেট ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খানের স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, আপনার চাকরি বিধি লঙ্ঘন ও পেশাগত অসদাচরণ বিষয়ে ১৩ই আগস্ট কলেজের গভর্নিং বডির সভায় আলোচনা হয়। আপনার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত দু’টি অভিযোগপত্রের সঙ্গে প্রেরিত পেন ড্রাইভে থাকা চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের সঙ্গে আপনার ৪০ মিনিটের পর্ন ভিডিও ও ছবি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করে। 

এ ছাড়া আপনার সঙ্গে ওই চিকিৎসকের অনৈতিক যৌনাচারে লিপ্ত হওয়ার সংবাদ ১১ই আগস্ট দৈনিক মানবজমিনের প্রথম পৃষ্ঠায়সহ স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকা, টিভি ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন  

এসব ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারীগণ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। একজন দায়িত্বশীল কলেজ শিক্ষিকা হিসেবে আপনার উক্তরূপ কার্যকলাপ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলী রেগুলেশান (সংশোধিত) ২০১৯ এর ১৭ এর ক ধারা মোতাবেক পেশাগত অসদাচরণ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি বিধি অনুসারে অভিযুক্ত। আপনার বিরুদ্ধে বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলী রেগুলেশান (সংশোধিত) ২০১৯ এর ১৭ এর ক ধারা অনুযায়ী অসদাচারণের অভিযোগে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব এ নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট জমা দেয়ার জন্য বলা হলো। এ ব্যাপারে জানতে শিক্ষিকা নাজমুন নাহার সাথীর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  এদিকে ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, কলেজের শিক্ষকরা একই স্টাফ রুমে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে বসতে রাজি নয়। এ ছাড়া কলেজে ছুটি না নিয়েই সাথী কলেজে যাওয়া থেকে বিরত আছেন এমনটা নিশ্চিত করেছেন কয়েকজন শিক্ষক। অপরদিকে কলেজ শিক্ষিকার অবাধ যৌনাচারের বিচার দাবি করে কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে লিখিত আবেদন করেছে ওই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও।

 

সারাদেশ


শেয়ার