করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে মুখোমুখি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকগণ





শেয়ার

সারাবিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের এক নতুন নাম করোনাভাইরাস। অদৃশ্য এই ভাইরাসের সাথে লড়াই করছে বিশ্বের ২১৩টি দেশ-অঞ্চল। আর এই অদৃশ্য করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুরো পৃথিবীটাই এখন আক্রান্ত। দেশে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে আট লাধিক মানুষ মারা গেছে এবং দু’কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহত এবং অসুস্থ হওয়া অব্যাহত রয়েছে। আক্রান্তদের অনেকেই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে এবং এক্ষেত্রে সুস্থতার হার নব্বই শতাংশের বেশি। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই কিছু সময়ের জন্য নিজেদেরকে লকডাউন করেছে। এই লকডাউনের সময় দেশে দেশে অফিস আদালত, কলকারখানা, নির্মাণ কাজ, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, খেলাধুলা, যানবাহন চলাচল, যাতায়াত, শপিং মল, পর্যটন, হোটেল রেস্তোরাঁ এবং এককথায় সবই বন্ধ ছিল। যা কিছু চালু ছিল তা সীমিত আকারেই চালু ছিল। ফলে বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনে একপ্রকার স্থবিরতা নেমে আসে।

 

এই লকডাউনের সময় অর্থনীতির চাকা বন্ধ থাকায় অর্থনীতিতে বির্পযয় নেমে আসে। কেননা ব্যবসায়ীর ব্যবসা বন্ধ, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, উৎপাদন বন্ধ, চাকরিজীবীর চাকরি বন্ধ থাকায় মানুষ নতুন করে অর্থনৈতিক কষ্টের সম্মুখীন হয়েছে ও মানুষকে দিন দিন মোকাবেলা করতে হয়েছে নতুন নতুন বিপদের। শ্রমজীবী এবং দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়ে, ফলে তাদের জীবনে সীমাহীন কষ্ট নেমে আসে। এ সময়ে প্রতিটি দেশের সরকার জনগণকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদেরকে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে।

 

লকডাউনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি দেশই বেইলআউট প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। আমাদের দেশেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মানুষকে সাধ্যমত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে ও সহযোগিতা করেছে। বিপদকালীন মুহূর্তে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং প্রণোদনা দিয়েছে। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে লকডাউন কোনো অবস্থায়ই সমাধান নয়। তাই পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই ২/৩ মাস পর ক্রমান্বয়ে লকডাউন তুলে নেয় এবং আস্তে আস্তে সব কিছু খুলে দিতে শুরু করে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরায় চালু হতে শুরু করে এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক। মূলত মানবজাতির জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। আর এই মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 

সরাসরি পাঠদান দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় বিপর্যস্ত শিক্ষা খাত। প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীই ক্ষতিগ্রস্ত করোনার ছোবলে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশনে পাঠদান চালু থাকলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীরা এ ক্লাসে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর এখন এ ক্লাসে মনোযোগ নেই। একাদশের শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি বিলম্বের পাশাপাশি পিছিয়ে গেছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও।

 

করোনার কারণে এ বছর বাতিল হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণির জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা। এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের ভাষ্য মতে, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুযোগ নেই। এ সময় টেলিভিশন, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের যে সুবিধা তা এসব মাধ্যমে হচ্ছে না। এতে বড় ধরনের শিখন দক্ষতায় শূন্যতা তৈরি হচ্ছে।’ এর মধ্যে অর্থনীতি বাঁচাতে জীবনযাপনে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা বললেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সাধারণত করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার গত ১৬ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। এর ফলে পিছিয়ে যায় এইচএসসি পরীক্ষাও। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্সা কার্যক্রম যাতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে প্রথমে মাধ্যমিক স্কুলের জন্য সংসদ টিভিতে ক্লাস পরিচালনা শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে শুরু হয় প্রাথমিকের ক্লাস। অস্বীকার করার উপায় নাই যে, করোনার প্রভাবে শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকরাও বিপাকে পড়েছেন। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিও বন্ধ। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে ৫৫৩টি বেসরকারি পলিটেকনিক গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান শুধু শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁদের বেতন-ভাতার সংস্থান হচ্ছে না। তবে গত ১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে প্রশাসনিক কাজের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়।

 

এর পর থেকেই মূলত টিউশন ফি আদায়ে তৎপর হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগেও সম্পূর্ণ বন্ধ থাকা আড়াই মাসেও অনেক প্রতিষ্ঠান টিউশন ফি পরিশোধের ‘মানবিক’ আবেদন অব্যাহত রেখেছিল। তবে এই মুহূর্তে বেশিরভাগ অভিভাবকই টিউশন ফি দিতে অপারগ কিংবা নারাজ। কিন্তু শিাপ্রতিষ্ঠানগুলো টিউশন ফি আদায়ে তৎপর। এতে মুখোমুখি অবস্থান করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকরা। কিন্তু অনেকটাই নিশ্চুপ অবস্থানে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলো। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরীক্ষা নেওয়ার নাম করে শিক্সার্থীদের বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রশ্ন ও খাতাপত্র প্রদান করছে। বিনিময়ে আদায় করছে পরীক্ষার ফিসহ মাসিক বেতন বা টিউশন ফি। সেই সাথে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বকেয়া বেতনের জন্যেও চাপ প্রয়োগ করছে। প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের খুদে বার্তা বা এসএমএস’র মাধ্যমে বেতন পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে টেলিফোন করে সরাসরি অভিভাবককে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে বেতন আদায়ের জন্যে। এতে কিছু কিছু অভিভাবক বেতন-ভাতা পরিশোধ করলেও অনেক অসচ্ছল অভিভাবকসহ বেশিরভাগ অভিভাবক বিদ্যালয়ের বেতনভাতা পরিশোধে অনীহা প্রকাশ করছে। কেননা অনেক অভিভাবক আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য বেতনভাতা দিতে পারছেন না। আর তাতে বিপত্তি ঘটছে ও অভিভাবক-শিক এবং শিা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়ে অভিভাবকদের যুক্তি, টিউশন ফি নির্ধারিত হয় মূলত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন, বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধসহ নানা কাজের জন্য।

 

কিন্তু করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেতন-ভাতা বাদে প্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো খরচ ছিল না। যেসব অভিভাবক বেসরকারি চাকরি ও ছোট ব্যবসা করেন, তাঁরা সমস্যায় আছেন। এই অবস্থায় শতভাগ বেতন আদায় করা কোনো যুক্তির মধ্যে পড়ে না। আর যেসব স্কুলের ফান্ড রয়েছে, তাদের তো কয়েক মাস বেতন না নিলেও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের যুক্তি, টিউশন ফি আদায় করেই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়। খুব কম প্রতিষ্ঠানই আছে যাদের বছর শেষে টাকা উদ্বৃত্ত থাকে। বর্তমান অবস্থায় টিউশন ফি পাওয়া যাচ্ছে না বলেই শিক্ষকদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। তবে যাঁরা সচ্ছল অভিভাবক তাঁরা যদি সবাই বেতন পরিশোধ করে দিতেন, তাহলে যাঁরা সত্যিকার অর্থেই সমস্যায় আছেন তাঁদের ব্যাপারে ভাবতে পারত প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

 

প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের এই মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে সারা দেশে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন আদায় কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান আবেদন করেছেন। রিট আবেদনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে। এর ফলে অসন্তোষ চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দূরত্ব কখনো কাম্য নয়। বর্তমানে করোনার এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা ছাড়াই পাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একাধিক রাজ্যেও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশেও শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পরীক্ষা ছাড়াই পাস বা অটো পাস করানো হবে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। মূলত করোনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছে দেশের অর্ধলক্ষ কিন্ডারগার্টেন স্কুল। সেগুলোর বেশির ভাগেরই আয়-রোজগার খুব বেশি নয়। শিক্ষকরাও সামান্য টাকা বেতন পান। কিন্তু মার্চ মাস থেকেই এসব স্কুলে টিউশন ফি আদায় একপ্রকার বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরাও বেতন পাচ্ছেন না। এ ছাড়া মফস্বল পর্যায়ের প্রায় সাত হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর এসব স্কুলের শিক্ষকদের আয় ছিল মূলত প্রাইভেট-টিউশনিনির্ভর। কিন্তু মার্চ মাস থেকে প্রাইভেট-টিউশনি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের আয়-রোজগারও বন্ধ হয়ে গেছে।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এই বিষয়ে বলেন, আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলতে পারছি না যে টিউশন ফি আদায় করা যাবে না। কারণ শিক্ষকদের বেতন দিতে হয়। আবার অভিভাবকদেরও বলতে পারছি না টিউশন ফি পরিশোধ করুন বা করবেন না। তবে এ ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে কাজটি করতে হবে। অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। আর কতদিন এভাবে চলবে কেউ জানি না। সরকারের একটা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসা জরুরি। একদিকে সরকার বলছে টিউশন ফি আদায়ে চাপ দেওয়া যাবে না, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলো দিনের পর দিন নোটিশ দিয়ে যাচ্ছে ফি পরিশোধ করতে। সরকার, স্কুল কর্তৃপক্ষ আর অভিভাবকরা ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় একটা সমাধানের পথ খোঁজা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ। অনেক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে অভিভাবকদের ফোন করে শিক্ষার্থীদের টিসি, ভর্তি বাতিল করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা কখনো কাম্য হতে পারে না। উল্লেখিত বিষয়ে সমাধানের জন্য উভয়পক্ষকে উদার হয়ে বসতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে মানবিকতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে। না হয় ত্রিমুখী তিক্ততা দিনদিন বৃদ্ধি পাবে। তাই এই সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সমস্যার সমাধানে উদ্যত হবেন।

 

লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক : বাংলাদেশ পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি (বাপউস)।

মুক্তমত


শেয়ার