আজকের সর্বশেষ

বর্ষার আগমনে বেড়ে যাবে সন্দ্বীপ নৌ রুটে যাত্রীদের ভোগান্তি, অন্তত দিনে শীপ ২ট্রিপ দেওয়া হোক

বাদশা মিয়া ফাউন্ডেশনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

রোজাদার সেবায় সাবেক মেয়র মনজুর আলম-এর ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম ইমাম, মুয়াজ্জিনদের মাধ্যমে শুরু

রমজান উপলক্ষে "গাজী মার্কেট তরুণ প্রবাসী ঐক্য পরিষদ'র পক্ষ হতে প্রায় ৮০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

হাসান মেহেদী'র 'নজরুল-সাহিত্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ' প্রকাশ

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্যদের নিয়ে প্রথমবারের মতো মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

দ্বীপবন্ধু স্মৃতি মেধা বৃত্তির পুরুষ্কার বিতরন

মাস্টার ছায়েদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল


অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়কে এখন থেকে লাল রং





শেয়ার

অ্যান্টিবায়োটিকের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ওষুধের মোড়কে লাল রং ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে দেশের অ্যান্টিবায়োটিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সরকারি এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), ফ্লেমিং ফান্ড, ইউকেএইড যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সাবরিনা ইয়াসমিন গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে বলেন, দেশের ফার্মেসিগুলোতে যারা কাজ করেন, তাদের অনেকেরই অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে ধারণা কম। ৮টি বিভাগের ৪২৭টি ফার্মেসির ওপর জরিপ করে দেখা গেছে, ৬৭ শতাংশ কর্মী অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে জানেন না। মানুষ কিনতে চাইলেই তারা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেন। এস এম সাবরিনা জানান, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কোনটি অ্যান্টিবায়োটিক আর কোনটি অ্যান্টিবায়োটিক নয়, তা স্পষ্ট করার জন্য মোড়কে লাল রং ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবরিনা ইয়াসমিন বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ সিদ্ধান্ত ওষুধ শিল্পের মালিকেরা মেনে নিয়েছেন। এখন থেকে অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়কে লাল রং থাকবে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, বিভিন্ন জীবাণু এন্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধগুলোর বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেছে। এই গবেষণায় প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ জীবাণুগুলোর মধ্যে গতে ৩১ হতে ৬৭ শতাংশ জীবাণুই মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্স, অর্থাৎ অনেক এন্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধই এদের  বিরুদ্ধে অকার্যকর

বিজ্ঞাপন  

এ ছাড়াও অনেক জীবাণু (জীবাণু ভেদে ১৫ থেকে ৫০ শতাংশ) প্রায় অধিকাংশ এন্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের বিরুদ্ধে অকার্যকর হিসেবে পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত ক্ষতিকর রেজিস্ট্যান্স জীবাণুসমূহের উপস্থিতি দেশের কিছু কিছু নমুনাতে পাওয়া গেছে। এসব জীবাণু জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ ও খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যা জরুরিভিত্তিতে মনিটরিং জোরদারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা অতীব জরুরি। গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের অনেক মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবগুলোতে এএমআর ডাটা ঠিকভাবে সংরক্ষণ হয় না এবং এসব ল্যাবের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নতি করা প্রয়োজন। গবেষণায় আরও দেখা যায়, যেসব অ্যান্টিবায়োটিক সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত সেসব অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বাংলাদেশে অনেক বেশি। অথচ, এই সকল ওষুধের ব্যবহার ৪০ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা উচিত। 
গবেষণার ফলাফলগুলোর মাধ্যমে এএমআর ও এএমইউ বিষয়ক পুরাতন এবং বর্তমানর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৩৪টি ল্যাবরেটরি (১১টি সরকারি এবং ২৩ বেসকারি) এবং ৫টি  বেসরকারি মডেল ফার্মেসি থেকে বিগত ৪ বছরের এএমআর/ইউ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ডাটা ব্যবস্থাপনা অনুশীলন কার্যক্রমকে মানসম্মতভাবে পর্যালোচনা করা এবং জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্তরে ডাটা শেয়ার করতে উৎসাহিত করার জন্য কাঠামো তৈরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডিজিডিএ মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ (সংক্রামক) শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

 

স্বাস্থ্য


শেয়ার