বুধবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিলো কমলগঞ্জের ছতিয়া গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার কন্যা আয়শা আক্তার (১৮) এর। বর প্রতিবেশী মৃত কদ্দুস মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন সুমন। সে পেশায় কভার্ডভ্যান চালক। মঙ্গলবার রাতে হওয়ার কথা ছিলো গায়ে হলুদ। ইতিমধ্যেই বিয়ের কার্ড ছেপে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে স্বজন প্রতিবেশীদের। তার আগেই লাশ হলো আয়েশা আক্তার নামের এই তরুণী। গরুর ধান খাওয়ার ঘটনায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশী সিরাজ মিয়া ও তার ভাই স্বজনরা। ঈদের আগের দিন শনিবার দুপুরে হামলার এ ঘটনা ঘটে। ঈদের একদিন পর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে স্থানীয় আহমদ ইকবাল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষার্থী। মৃত্যুর এ সংবাদ মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে পৌঁছলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
দুপুরে নিহতের লাশ বাড়িতে পৌঁছলে পরিবারের স্বজন ও প্রতিবেশীদের গগন বিদারী কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। শনিবারের হামলার এ ঘটনায় নিহত আয়েশা আক্তারের মা কনিজা বেগমও আহত হন। মেয়ের মৃত্যুর সংবাদে মৌলভীবাজার হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরেন তিনি। তার মাথায় রয়েছে অসংখ্য সেলাই। শরীরে রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। কথা বলতে তার কষ্ট হচ্ছিলো। মেয়ের বিয়ের কথা বলতে গিয়ে বুকফাটা আর্তনাদে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি।