কেফায়েতুল্লাহ কায়সার :
‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়...’।
'আর একটিবার আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়'।
কবির পংক্তিমালাগুলো যেমন দারুণ ও ছন্দময় তেমনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার হাজী আব্দুল বাতেন সরকারি কলেজের ১৯৭৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূণর্মিলনীতেও ছিল এক ছন্দময় পরিবেশ। যেন ৪৪ বছর পর আবার বাঁধন হলো প্রাণে প্রাণে।
গতকাল দুপুরে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নগরির আকবরশাহ থানাধীন হলিফেম রেস্টুরেন্টে
অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭৮ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের তারুণ্য মেলা। দীর্ঘ চুয়াল্লিশ বছর পর অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মজীবী পুরনো বন্ধুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে মিলন মেলা প্রাঙ্গণ। এ সময় স্কুল-কলেজের খেলার মাঠের সাথীদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী এডভোকেট এম এ বারীর সভাপতিত্বে ও ইব্রাহিম খলিল উল্লাহর সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ ও বক্তব্য রাখেন, কাজী মো. ইউছুফ, এডভোকেট রিদওয়ানুল বারী, এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আইয়ুব খান, মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আবদুস সাত্তার, কাজী জসিম উদ্দিন, মনির তালুকদার, রতণ মানিক বসু ও আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হাসান ইকবাল মাহমুদ, কাজী সফিকুল মাওলা, পিযুষ কান্তি ভদ্র, কানুলাল ঘোষ, আবুল বাসার, মো. সোহরাব, সামছুদ্দিন, মো. মোবাশ্বের আলম, মো. জাফর উল্লাহ, ইদ্রিছ আলম, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মো. কুতুব উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
পরে উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি বছর মিলন মেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যাংক কর্মকর্তা আইয়ুব খানকে আহবায়ক ও মো. ইব্রাহিম খলিল উল্লাহকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি মিলন মেলা আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় এবং মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান।