চট্টগ্রাম অফিসঃ নগরীর চান্দগাঁওয়ে র্যাব-৭ এর ক্যাম্পে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর জামান ও মুরাদ।
কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার সাবরাং এলাকায় কিছু মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বেচাকেনার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে মো. ছাবেরকে আটক করে। ছাবেরের হাতে থাকা একটি শপিংব্যাগ তল্লাশি করে ৯৯৫ গ্রাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং ২৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ছাবের দীর্ঘদিন কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পাচার করে আসছে। উদ্ধার করা মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা।
পৃথক আরেক অভিযানের কথা উল্লেখ করে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার বালুখালী এলাকায় রোববার অভিযান চালিয়ে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের বসত বাড়ির উঠানে মাটির ভেতর তল্লাশি চালিয়ে শক্ত প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো বিশেষ কায়দায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৭) পৃথক অভিযানে রাঙামাটি জেলার কাউখালী থানার যেবাছড়ি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী গাঁজা ক্ষেত থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে শুকিয়ে বাজারজাত করার জন্য সংরক্ষণ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে জ্যোতিমান চাকমাকে আটক করেন। আটক জ্যোতিমান চাকমার দেখানো মতে তার চাষকৃত জমি থেকে ১টি গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক গাঁজা গাছের সংখ্যা ৬ হাজার এবং জমি পরিমাণ ৫ একর। ধ্বংস করা গাঁজার আনুমানিক ওজন ৫ হাজার ৫০০ কেজি। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।