সন্দ্বীপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০৯ শিক্ষক ও ৫০ দপ্তরি পদ শূন্য





শেয়ার


ইলিয়াছ সুমন ।

সন্দ্বীপ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সহ ১০৯ টি পদ শূন্য হয়ে আছে। এর মধ্যে ৫৪ জন প্রধান শিক্ষক ও ৫৫ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের চিত্র আর ও প্রকট  জনবল সংকট ১৩ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৫ জন। সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ৭ জনের মধ্যে আছে ২ জন ৫ টি পদ শূন্য হয়ে আছে। উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর ও এম এল এস এসের ১ টি দীর্ঘদিন শূন্য হয়ে আছে। হিসাব রক্ষক ২ জনের বিপরীতে আছে একজন। স্বল্প জনবল দিয়ে উপজেলার এতগুলো স্কুলের  দেখভাল করতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ সহকারী ২ জন অফিসার। এসব পদে দ্রুত নিয়োগ না দেয়া হলে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্হান সূচক অপ্রত্যাশিত নিচের দিকে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলতি দায়িত্ব হিসাবে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। তা ছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ খালি রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ে অন্য সহকারী শিক্ষক দিয়ে অতিরিক্ত পাঠদান করানো হচ্ছে । প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ গুলি পূরণ না হওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় গুলিতে প্রশাসনিক ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রাম ব্যাহত হচ্চে। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রাস্ত হচ্ছেন তেমনি বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকেরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে সন্দ্বীপ পৌরসভা সহ ১৫ টি ইউনিয়নে ১৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।  ঐসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ ১০১৬ টি পদের  মোট ১০৯ টি শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে আছে। এদের মধ্যে ৫৪ জন প্রধান শিক্ষক ও ৫৫ জন সহকারী শিক্ষক, অবসরে চলে যাওয়ায়  ৫৪ জন প্রধান শিক্ষকের স্হলে বর্তসানে ভারপ্রাপ্ত বা চলতি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সহকারী শিক্ষকেরা। ৯০৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬০শতাংশ নারী শিক্ষক, এ নারী শিক্ষকের আবার অনেকে বছরে ৬ মাস মাতৃত্বের সহ নানা কারনে ছুটিতে থাকেন তাদের পাঠদান তার সহকর্মীরা চালিয়ে নেয়ার কারনে আর বেশি কাজের ব্যাঘাত বাড়ছে। আবার কিছু শিক্ষক বছরে ৪/৬ মাস প্রশিক্ষন সংক্রান্ত কাজে ও থাকতে হয়।  উপজেলার কিছু স্কুলে ৩ জন শিক্ষক দিয়ে ও স্কুল চলছে। শুধু সহকারী বা প্রধান শিক্ষক নয়  অন্য দিকে উপজেলার ১৫০ টি স্কুলের মধ্যে ৫০ টিতে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ না দেয়ায় শিক্ষকদের ঘন্টা বাজানো ও এন্টারটেইনমেন্ট সংক্রান্ত কাজ ও করতে হয়। সন্দ্বীপ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম সাপ্তাহিক উপনগর  কে বলেন শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা শেষ হয়েছে, সন্দ্বীপ উপজেলার বিদ্যালয় ও শিক্ষা অফিসের জনবল সংকট ও, শূন্য পদের শিক্ষক সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি সমস্যা সমাধান হবে।

সন্দ্বীপ


শেয়ার

আরও পড়ুন