জাতীয় কবিতা মঞ্চের নজরুল উৎসবে অতিথিবৃন্দ: পতেঙ্গা সী-বীচকে নজরুল সী-বীচ নাম করণের আহবান





শেয়ার

কেফায়েতুল্লাহ কায়সার :

বাঁশরি নজরুল চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ও জাতীয় কবিতা মঞ্চের ব্যবস্থাপনায় ২৮ এপ্রিল বিকাল ৪ টায় নগরির পতেঙ্গা সী-বীচে কাজী নজরুল ইসলামের পতেঙ্গা আগমন বার্ষিকী উপলক্ষে নজরুল উৎসবের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জান্নাতুন ফেরদৌস, কবি ও বিচারক জেলা ও দায়রা জজ, মানব পাচার অপরাধ, দমন ট্রাইবুনাল, চট্টগ্রাম ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. রফিকুল আলম, অধ্যাপক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। জায়েদ নূর, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পতেঙ্গা থানা, মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম, পতেঙ্গা ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি। মাইনুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, বাঁশরি সভাপতি শিক্ষাবীদ ড. খালিকুজ্জামানের পক্ষে রোমান মৃধা।

জাতীয় কবিতা মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামীর সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেফায়েতুল্লাহ কায়সার ও তাসকিয়াতুন নূর তানিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কবিতা মঞ্চ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ত্রিতরঙ্গ সভাপতি দেবাশীষ রুদ্র, শিমলি দাস, রায়হান আকবর, প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বলেন, বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সাহিত্যের যে প্রাচুর্য তিনি তুলে ধরেছেন তা তুলনাহীন। সাহিত্যের নানা শাখায় তিনি বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি একজন কবি। কাজী নজরুল তাঁর কবিতায় শব্দের গাঁথুনিতে তুলে ধরেছেন মানুষের প্রতি মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার। আর তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

বিংশ শতাব্দীর বাঙালির মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে তাকে “জাতীয় কবি হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তার কবিতা ও গানের জনপ্রিয়তা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। তার মানবিকতা, ঔপনিবেশিক শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দ্রোহ, ধর্মীয়গোঁড়ামির বিরুদ্ধতা বোধ এবং নারী-পুরুষের সমতার বন্দনা গত প্রায় একশত বছর যাবৎ বাঙালির মানসপীঠ গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে। বহুমুখি প্রতিভাবান ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। এক কথায় বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলামের উপর আলোচনা, স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও নজরুলের কাওয়ালি পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ পতেঙ্গা সী-বীচকে নজরুল সী-বীচ নাম করণের জন্য আহবান জানান। ##

শিক্ষা ও সাহিত্য


শেয়ার