দ্রুত সশরীরে পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)





শেয়ার

ক্লাস-পরীক্ষা সচল করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। এবার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দ্রুত সশীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে সেশনজট তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা যেমন চাকরিতে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন তেমনি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছেন। পড়াশোনার দীর্ঘ বিরতিতে মানসিক অবসাদে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ভার্চুয়াল জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে পরামর্শ করে সশরীরে এবং অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে যাদের সক্ষমতা রয়েছে তারা চাইলে আপাতত অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারবে। আপাতত বন্ধ রাখা হবে সব আবাসিক হল। হলে থাকা শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকা প্রদান নিশ্চিত করে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে দেশের একমাত্র অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাস্তবতা ভিন্ন। হল না থাকায় একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেস ও বাসা ভাড়া নিয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশেই অবস্থান করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে আছি এবং পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে উপাচার্যের মিটিং করে একটা সিদ্ধান্ত নেবে। মিটিংয়ে যেটা সিদ্ধান্ত হবে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘পরীক্ষা অবশ্যই নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ডিনদের নিয়ে আগামী রোববার বা সোমবার আমরা মিটিংয়ে বসব উপাচার্যের সঙ্গে। আমাদের পরিকল্পনা আছে আগামী পহেলা জুলাই থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার এবং এর আগে ক্লাস শুরু করার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের নতুন উপাচার্য যোগদান করেছেন। স্যারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। স্যারের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’

সেশনজট নিরসন ও পরীক্ষা প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে সেশনজট তৈরি হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে যারা আছে তাদের আগে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা আছে। যাতে তারা পাস করে দ্রুত চলে যেতে পারে এবং চাকরি করতে পারে। যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষা ও সেশনজট নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। খুব দ্রুত সময়েই এই সংকট নিরসন করে ফেলব বলে আমি আশা রাখি।’

তৌফিক মেসবাহ

শিক্ষা ও সাহিত্য


শেয়ার