চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী তানজিন তিশা। অভিনয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে শুরুর তিশার সঙ্গে এখনকার তিশার মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। অভিনয়ে সময় যত গড়িয়েছে এ অভিনেত্রী হয়েছেন আরও পরিণত। শুরুর দিকে একই ধরনের চরিত্রেই তাকে দেখা গেলেও গত দুই বছর ধরে অন্য এক তিশাকে দর্শক আবিষ্কার করতে পেরেছেন। আর অভিনেত্রী হিসেবেও এই সময়ে তিশা নিজেকে ভেঙেচুরে দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত করেছেন। বদলে যাওয়া এ তিশার জন্যই যেন অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। এবারের ঈদে দর্শকপ্রিয়তায়ও এগিয়ে ছিলেন তিনি। তার অভিনীত নাটকগুলো রয়েছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে। ঈদের নাটকের মধ্যে তিশা নজর কেড়েছেন ‘রিকশাগার্ল’ হয়ে।
বিজ্ঞাপনরাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এ নাটকে একজন রিকশাচালকের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এমন একটি চরিত্রে কাজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে যথেষ্ট উতরে গেছেন তিশা। যেন চরিত্রের সঙ্গেই মিশে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে মহিদুল মহিম পরিচালিত ‘দরদ’ নাটকে মুশফিক আর ফারহানের বিপরীতে মলম বিক্রেতার স্ত্রীর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন তিনি। নাটকের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত ফারহান-তিশার কমেডি ও রোমান্স যেমন মানুষকে হাসিয়েছে অন্যদিকে শেষের দিকের ভয়ানক ট্র্যাজেডি কাঁদিয়েছেও। অন্যদিকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে সঞ্জয় সমাদ্দারের ‘অমানুষ’, আফরান নিশোর বিপরীতে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘অনাকাক্সিক্ষত বিয়ে’, ফারহানের বিপরীতে মাহমুদ মাহিনের ‘ডিয়ার লাভ’ এবং তুহিন হোসেন পরিচালিত ভিন্নধর্মী গল্পের ‘অবসর’ নাটকগুলোতে তিশার দুর্দান্ত অভিনয়শৈলী নজর কেড়েছে দর্শকদের। ঈদানীং বিভিন্ন নাটকে বদলে যাওয়া এক তিশাকে আবিষ্কার করা যাচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব হয়েছে? তানজিন তিশা বলেন, সময়ের সঙ্গে মানুষ পরিণত হয় এটাই স্বাভাবিক। আসলে চরিত্রটাকে নিজের ভেতর কতোটুকু ধারণ করতে পারলাম সেটাই বড় বিষয়। আমি চেষ্টা করছি নিজের মতো করে। তাছাড়া আলাদা চরিত্রে কাজ করতে আমি বরাবরই স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করি। এবারের ঈদের নাটকে তারই প্রতিফলন হয়তো ঘটেছে।