শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। মোবাইল ফোন এখন সবার হাতে হাতে, কাজেই আমরা সেই মোবাইল ফোন এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষি তথ্য যাতে আমাদের কৃষকরা পেতে পারে বা যারা উৎপাদন করে তারা পেতে পারে, তার ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের জন্য আমরা কৃষি বাতায়ন এবং কৃষি কমিউনিটি রেডিও চালু করেছি। কারণ, আগে আমাদের বাংলাদেশে একটি সরকারি রেডিও ছিল। এখন আমরা বেসরকারি খাতে রেডিওসহ টেলিভিশিন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। সেখানে কৃষির ওপর অনুষ্ঠান হয়। কোনো কৃষকের তথ্য প্রয়োজন হলে কৃষি বাতায়ন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে সেই তথ্য সেবাটাও আমাদের দেশের কৃষক পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথম মাত্র ১০ টাকায় একজন কৃষককে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। আর সেটা দেশের সবচেয়ে মঙ্গাপুরী এলাকা কুড়িগ্রাম থেকে শুরু করি। সেই সঙ্গে কৃষি উপকরণের যে টাকাগুলো সেটা তাদের কাছে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায় সেই ব্যবস্থাও আমরা করেছি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে সার বীজসহ কৃষকের যা প্রয়োজন সেই টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষক পায়, উপকরণ কর পায়। প্রায় দুই কোটি ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৯ জন কৃষককে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪১৩ দশমিক ৪৬ কোটি টাকার প্রণোদনা সরাসরি তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। কারণ, করোনার এই সময়ে যেহেতু দুরবস্থা সে জন্য আমরা এটার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।