নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিএমপি সবসময় উদ্ভাবনী ও গণমূখী পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চট্টগ্রাম বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার। জাতির পিতার আহবানে চট্টগ্রামের মানুষের পাশাপাশি পুলিশও মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। করোনাকালীন সময়ে সিএমপির পুলিশ সদস্যদের আত্নত্যাগের কথা স্মরণ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি গণমূখী পুলিশিং কার্যক্রমে নেওয়া বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি নবনির্মিত কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগার, কালুরঘাট পুলিশ ফাড়ি ও মনছুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে পুলিশের ব্যারাক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
প্রধান অতিথি মহোদয় তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একইসাথে তিনি ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। এছাড়াও তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের অবদানের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ৭৫ এর ১৫-ই আগস্টে জাতির জনক সহ তার পরিবারের সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এছাড়াও তিনি ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
পরিশেষে তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের গৃহীত নানা বিষয় তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
এসময় অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যবৃন্দ,সাবেক চসিক মেয়র,বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, পুনাক সিএমপির সম্মানিত সভানেত্রী,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক),অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) সহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অথিতিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।