মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি ফটিকছড়ির মুসা





শেয়ার

সজল চক্রবর্তী,ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ মুহাম্মদ মুসা ১৯৭১ সালে ফটিকছড়ির আবদুল্লাপুর গ্রামের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা । রাউজান উপজেলাস্থ ফতেনগর গ্রামে বসবাসরত একই নাম একই পিতৃপরিচয়ে পরিচিত নকল ব্যক্তির পরিচয়ের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়  আসল মুক্তিযোদ্ধা মুসার পরিচয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাদ গ্রহনের পূর্বেই চলে যান বিদেশে।

 

মুহাম্মদ মুসা নামে গেজেট হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। তবে এই মুসার নামে নয়, একই স্থানে বসবাসরত নকল মুসা, পিতৃনাম ও ঠিকানা অভিন্ন হওয়ার সুবাধে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট জুটে যায় দেশে অনুপস্থিত আসল মুসার বদলে নকল মুসার কপালে। স্থানীয় চেয়ারম্যান অহিদুল আলম জুয়েলকে বিদেশ থেকে মুসা ফোনে জানান, "ভাইপো আমার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেটের বিষয়ে কিছু একটা করিও "। বিদেশ হতে এই বাক্যটি বলা পর্য্যন্ত ছিল দেশ মাতৃকার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া এই সূর্যসন্তানের সার্টিফিকেটের চাহিদা। 

 

চেয়ারম্যান অহিদুল আলম জানান, মুক্তিযোদ্ধা মুসার মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা গল্প এক বাক্যে স্বীকার করে নিলেও কেউ কোন দিন দায়িত্ব নিয়ে কোন কিছু করতে দেখেনি। স্থানীয় চেয়ারম্যান আরো জানান, আসল মুক্তিযোদ্ধা এক সময়ে রাউজানের ফতেনগরে থাকতেন।সেই সুবাদে নিজের ও পিতার নামের বিভ্রাট হয়। যে কারণে এক সময়ে আসল নামের মুসা নকল নামের মুসার বিরুদ্ধে মামলা করলে নকল নামের মুসার সরকারী সব অনুদান স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়। পরে নকল মুসা মারা গেলেও এ উপজেলার আবদুল্লাহ পুরের আসল মুসা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বঞ্চিত রয়েছেন।

 

সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত এই মানুষটিকে মুক্তিযুদ্ধের আইডেন্টিটি ফেরত দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন এই চেয়ারম্যান।

চট্টগ্রাম


শেয়ার