চট্টগ্রামে জেএমসেন ভবন ভাঙ্গার চক্রান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিক্ষোভ





শেয়ার

চট্টগ্রাম : ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ী জে এম সেন ভবন ভাঙ্গার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। 

 

ঐক্য পরিষদ মহানগর শাখার সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিতের পরিচালনায় বক্তব্য দেন মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী,ডা. মাহফুজুর রহমান,ইন্দুনন্দন দত্ত,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ,সফর আলী,ড. জিনবোধী ভিক্ষু,তপন চক্রবর্তী,খোরশেদ আলম,শৈবাল দাশ সুমন,জহরলাল হাজারী,টুম্পা গুহ,পংকজ চক্রবর্তী,রণজিৎ কুমার দে,সাংবাদিক আলিউর রহমান,অসীম কুমার দেব,অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ,অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার,অ্যাডভোকেট অনুপম চক্রবর্তী,অ্যাডভোকেট চন্দন বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট যীশু কৃষ্ণ রক্ষিত,অ্যাডভোকেট রুবেল পাল,অ্যাডভোকেট অশোক দাশ, অ্যাডভোকেট স্বরূপ পাল,অজিত শীল, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, সুমন দেবনাথ, হিল্লোল চৌধুরী,সিঞ্চন ভৌমিক,বিমল দে,সিজার বড়ুয়া, রাহুল বড়ুয়া,বিজয় কৃষ্ণ জলদাসসহ আরো অনেকে।

 

মানববন্ধনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ব্যক্তি স্বার্থে নয় সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্র ও সরকারের দৃষ্টিতে আনার জন্য দেশের নাগরিক হিসেবে ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন জে এম সেন ভবন বিকৃতি, বিনাশ ও অপসারণের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি।যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত ও নেলী সেনগুপ্তর সম্পত্তি নিয়ে যেসব দলিল তৈরি করা হয়েছে সেগুলো দেশের কৃষ্টি-ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে বাতিল ঘোষণা করতে হবে।ঐতিহাসিক ভবনটি আগের রূপে ফিরিয়ে দিয়ে বিপ্লবী স্মৃতি জাদুঘর করতে হবে বলে দাবী জানিয়েছেন তিনি।

 

মানবন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, এই ভবন শুধু সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা যাত্রামোহন সেনগুপ্তের বাড়ি নয়,এখানে মহাত্মা গান্ধী, সুভাষ চন্দ্র বসু, শরৎ বসু, মোহাম্মদ আলী ও শওকত আলীসহ বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বাড়িটি প্রগতিশীল আন্দোলনের সূতিকাগার। এটি দখলের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।বক্তারা চট্টগ্রাম জেলা যুগ্ম জজের প্রথম আদালত থেকে দেওয়া আদেশ এবং উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসকে না জানিয়ে সরকারি অর্পিত সম্পত্তি দখল করতে পুলিশি তৎপরতার যথাযথ তদন্ত করা, অর্পিত সম্পত্তিটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা ও গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে পরিচালনা করার দাবি জানান বক্তারা।

 

চট্টগ্রাম


শেয়ার