নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে জোড়া খুন মামলার একমাত্র ও প্রধান আসামী র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৭ চান্দগাঁও কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল ঘটনার বিবরণে জানান, গত ২৪ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পাঠানিয়া গোদা এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয় গুলনাহার বেগম (৩৩) ও তার ৯ বছরের শিশু পুত্র রিফাত।
পরবর্তীতে সন্ধ্যায় গুলনাহার বেগমের মেয়ে পোশাক শ্রমিক ময়ূরী আক্তার (১৯) গার্মেন্টস থেকে এসে বাথরুমে মায়ের মৃতদেহ ও রান্নাঘরে ভাইয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙখলা বাহিনীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
উক্ত জোড়া খুনের ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ূরী আক্তার বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় আসামী মোঃ ফারুক (৩৩), পিতা- মোঃ সিরাজ, সাং- খাজা রোড কসাইপাড়া, থানা- চান্দগাঁওসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন এর বিরুদ্ধে ১টি হত্যামামলা দায়ের করে।
গ্রেফতার এড়াতে ফারুক দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপন করে। এক পর্যায়ে র্যাব-৭ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রধান আসামী জঘণ্য খুনী মোঃ ফারুক চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানাধীন পাক্কার মাথা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১ অক্টোবর ভোরে র্যাব-৭ এর একটি দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে ১ টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি এবং ১ টি ছুরিসহ আটক করে। আসামী ফারুককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জোড়া খুনের কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো স্বীকার করে যে, বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়াঝাটি থেকে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সে তার 'পাতানো বোন' গুলনাহারকে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টি ভিকটিমের ৯ বছরের ছেলে রিফাত দেখে ফেলায় তাকেও নৃশংস হত্যা করে খুনী ফারুক। এছাড়াও ফারুক টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দেখে হত্যাকাণ্ডের কৌশল শিখেছে বলে র্যাবকে জানায়। এছাড়াও ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে বলে জানায় র্যাব।