একই ছক। একই গল্প। এ যেন বিনি সুতার মালা। আর্জেন্টিনা ও জার্মানির ভাগ্য কি তাহলে একই? কাতার বিশ্বকাপ কি একের পর এক ইতিহাস রচনা করে চলবে? দুইদিনে দুই ইতিহাস। ফুটবল দুনিয়া বেকুব। কোনো হিসেবই মিলছে না।
মনে হচ্ছে, আর্জেন্টিনার কাফেলায় যোগ দিল জার্মানিও। সুপার স্টার লিওনেল মেসি পেনাল্টি দিয়ে শুরু করেছিলেন। ২-১ গোলে হেরে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন। মেসি নিজেই বলেছেন- আর্জেন্টিনা আমার জন্য কেঁদো না। তাতে কী ! কান্না কী আর থামে! ওরা কাঁদছে আর সৌদি আরব জাতীয় ছুটি ঘোষণা করে উল্লাস করছে।
বহুবছর আগে জার্মান প্রাচীর ভেঙে দেয়া হয়েছে। রয়ে গেছে স্মৃতি। কিন্তু জাপানের গোলকিপার যেভাবে দেয়াল রচনা করেছেন তা জার্মানদের সেই প্রাচীরের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এক গোল খেয়ে জাপান ভেঙে পড়েনি। হাল ছাড়েনি। সিংহের মতো লড়াই করেছে। আল খলিফা স্টেডিয়ামকে সাক্ষী রেখে বলেছে- শুধু পশ্চিম নয়, ফুটবল পূর্বেরও। জাপান সাধারণ ছুটি দেবে কিনা এখনো জানি না। তবে এটা দেয়ার মতোই । গোলদাতা তাকুমা আসানোর গোলটি ছিল এই টুর্নামেন্টের সেরা গোল। যেভাবে জিরো অ্যাঙ্গেল থেকে গোলটি করেছেন তা গোলের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আর্জেন্টিনা ও জার্মানি দুটি দলই ছিল হট ফেভারিট। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য এসেছে কাতার। যদিও জার্মানি তালিকায় আর্জেন্টিনার থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর্জেন্টিনা ৩৬ খেলায় অপরাজিত থেকে কাতার এসেছে। তাদের একটাই স্বপ্ন। মেসির হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চান আর্জেন্টাইনরা। তারপরও জার্মানি বলে কথা। জার্মানি চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে। যাইহোক, এই হার দুটি দলের জন্য পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনাকে আরো কঠিন করে দিয়েছে। আর্জেন্টিনাকে পরবর্তী দুটি খেলায় মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে বড় গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। আর যদি একটিতে ড্র করে তাহলে অঙ্কের হিসেবে টিকে থাকবে। জার্মানির ভাগ্য তাই। তাদেরকেও স্পেন ও কোস্টারিকার বিপক্ষে জিততে হবে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। পেছন থেকে দৌড়ের গতি বাড়িয়ে বিজয়ের নায়ক হওয়ার রেকর্ডও রয়েছে। দেখা যাক না শেষ পর্যন্ত কী হয়!