আজকের সর্বশেষ

বর্ষার আগমনে বেড়ে যাবে সন্দ্বীপ নৌ রুটে যাত্রীদের ভোগান্তি, অন্তত দিনে শীপ ২ট্রিপ দেওয়া হোক

বাদশা মিয়া ফাউন্ডেশনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

রোজাদার সেবায় সাবেক মেয়র মনজুর আলম-এর ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম ইমাম, মুয়াজ্জিনদের মাধ্যমে শুরু

রমজান উপলক্ষে "গাজী মার্কেট তরুণ প্রবাসী ঐক্য পরিষদ'র পক্ষ হতে প্রায় ৮০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

হাসান মেহেদী'র 'নজরুল-সাহিত্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ' প্রকাশ

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্যদের নিয়ে প্রথমবারের মতো মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

দ্বীপবন্ধু স্মৃতি মেধা বৃত্তির পুরুষ্কার বিতরন

মাস্টার ছায়েদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল


জাপান বুঝিয়ে দিলো ফুটবল শুধু পশ্চিমের নয়





শেয়ার

একই ছক। একই গল্প।  এ যেন বিনি  সুতার মালা।  আর্জেন্টিনা ও  জার্মানির ভাগ্য কি তাহলে একই? কাতার বিশ্বকাপ কি একের পর এক ইতিহাস রচনা করে চলবে? দুইদিনে দুই ইতিহাস। ফুটবল দুনিয়া বেকুব। কোনো হিসেবই মিলছে না।
মনে হচ্ছে, আর্জেন্টিনার কাফেলায় যোগ দিল জার্মানিও। সুপার স্টার লিওনেল মেসি পেনাল্টি দিয়ে শুরু করেছিলেন। ২-১ গোলে হেরে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন।  মেসি নিজেই বলেছেন- আর্জেন্টিনা আমার জন্য কেঁদো না। তাতে কী ! কান্না কী আর থামে! ওরা কাঁদছে আর সৌদি আরব জাতীয় ছুটি ঘোষণা করে উল্লাস করছে।


ইলকাই গুন্ডোয়ান পেনাল্টি দিয়ে শুরু করেন। এই খেলায় ২-১ গোলে জার্মানির বিপর্যয় ঘটে। ফলাফল একই। জাপান বিজয় ছিনিয়ে নেয়। অনেকেই হয়তো বলবেন এটাও ফুটবল ইতিহাসের এক অঘটন। আমি তা মানবো না। যেভাবে জাপানিরা লড়াই করেছে তা ছিল অবিশ্বাস্য।কলম্বিয়ার সাংবাদিক  গিলেমো বলেন, জাপানিরা তলে তলে এতোদূর এগিয়েছে তাতো টের পাইনি। তিনবার বিশ্বকাপের আসরে এসেছেন। একসঙ্গে বসে খেলা দেখছিলাম।  তার মতে, এটা এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। জার্মানি শত চেষ্টা করেও লজ্জার হার এড়াতে পারেনি। খেলা শেষে জাপানিদেরই শুধু দেখা গেছে। জার্মানরা অনুপস্থিত। এটাই নিয়ম।  জাপানের গোলকিপার  শুইচি গোন্ডা অনবদ্য ফুটবল খেলেছেন।  

বহুবছর আগে জার্মান প্রাচীর ভেঙে দেয়া হয়েছে। রয়ে গেছে স্মৃতি। কিন্তু জাপানের গোলকিপার যেভাবে দেয়াল রচনা করেছেন তা জার্মানদের সেই প্রাচীরের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এক গোল খেয়ে জাপান ভেঙে পড়েনি। হাল ছাড়েনি। সিংহের মতো লড়াই করেছে। আল খলিফা স্টেডিয়ামকে সাক্ষী রেখে বলেছে- শুধু পশ্চিম নয়, ফুটবল পূর্বেরও।  জাপান সাধারণ ছুটি দেবে কিনা এখনো জানি না। তবে এটা দেয়ার মতোই । গোলদাতা তাকুমা আসানোর গোলটি ছিল এই টুর্নামেন্টের সেরা গোল। যেভাবে জিরো অ্যাঙ্গেল থেকে গোলটি করেছেন তা গোলের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। 
আর্জেন্টিনা ও জার্মানি দুটি দলই ছিল হট ফেভারিট। বিশ্বকাপ  জয়ের জন্য এসেছে কাতার। যদিও জার্মানি  তালিকায় আর্জেন্টিনার  থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে।   আর্জেন্টিনা ৩৬ খেলায় অপরাজিত থেকে কাতার এসেছে। তাদের একটাই স্বপ্ন। মেসির হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চান আর্জেন্টাইনরা।  তারপরও জার্মানি বলে কথা।  জার্মানি চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে। যাইহোক, এই হার দুটি দলের জন্য পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনাকে আরো কঠিন করে দিয়েছে। আর্জেন্টিনাকে পরবর্তী দুটি খেলায়  মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে বড় গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। আর যদি একটিতে ড্র করে তাহলে অঙ্কের হিসেবে টিকে থাকবে। জার্মানির ভাগ্য তাই। তাদেরকেও স্পেন ও কোস্টারিকার বিপক্ষে  জিততে হবে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। পেছন থেকে দৌড়ের গতি বাড়িয়ে বিজয়ের নায়ক হওয়ার রেকর্ডও রয়েছে। দেখা যাক না শেষ পর্যন্ত কী হয়!   

 

খেলাধুলা


শেয়ার